বিতর্কিত ঘটনা যে হোসে মরিনিওর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। কদিন আগে প্রতিপক্ষ কোচের নাক টিপে দেওয়ার কাণ্ডে মরিনিওকে চলে তুমুল সমালোচনা। পর্তুগিজ এই কোচকে এবার করা হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা।
প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে ২০২৪-২৫ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে পিএসজিতে যেভাবে নিয়মিত গোল করতেন, রিয়ালে এসে শুরুতে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না।
আল নসর থেকে দারুণ ছন্দ নিয়ে পর্তুগালের হয়ে ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু উয়েফা নেশনস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে পুরোটা সময় ছায়া হয়ে রইলেন সিআরসেভেন। দলেরও হলো তাই তিক্ত অভিজ্ঞতা। রাতে পার্কেন স্টেডিয়াম থেকে ১-০ গোলে হেরে ফিরছে তারা। প্রথম লেগে দারুণ জয়ে সেমিফাইনালের পথটা
হুট করে মাথা গরম করার ঘটনা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে একেবারে নতুন কিছু নয়। কখনো দর্শকদের প্রতি, কখনো সতীর্থ বা প্রতিপক্ষের ফুটবলার, কখনোবা রেফারিদের সঙ্গে রোনালদোর লেগে যায়। সৌদি প্রো লিগে গত রাতে পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ড মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি।
আল নাসরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি আরবের ক্লাবটিতে তিনি যে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন, সেটা তাঁর পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছে। তাঁর একের পর এক রেকর্ড তো হলো আল নাসরেই। শোনা যাচ্ছে, ক্লাবটির সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়ছে।
নিজের ঢোল নিজেই অনেক পিটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেভাবে একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন, তাতে নিজের প্রশংসা তিনি চাইলে করতেই পারেন। নিজেকে নিজে সেরা বলতে গিয়ে বিদ্রুপেরও শিকার হয়েছেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড।
৩৯ থেকে ৪০-এ উঠতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আর বেশি সময় বাকি নেই। পর্তুগিজ তারকার ৪০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল। জন্মদিনের আগে নিজেকেই নিজে দিলেন উপহার। উদযাপনেও এনেছেন ভিন্নতা।
নিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জায়গায় কেন রদ্রি পেলেন ব্যালন ডি’অর—পুরস্কারটি দেওয়ার পর থেকেই হৈ চৈ পড়ে যায় সামাজিকমাধ্যমে। অনেকেই ভিনির পক্ষে কথা বলেছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দাবি, ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের সঙ্গে এখানে অন্যায় করা হয়েছে।
খেলা, ফুটবল, লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আর্জেন্টিনা ফুটবল, পর্তুগাল ফুটবল
অঘটন, ইতিহাস এসব না থাকলে খেলাধুলায় আর কী মজা থাকে! মেজর কোনো টুর্নামেন্টে হলে সেটা যেকোনো দলের জন্যই আজীবন ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতো। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে একেবারে তলানিতে ২১০ নম্বরে থাকা স্যান মারিনো গত রাতে লিখল ইতিহাস।
শিরোনামে আসতে না পারলে যেন ভালোই লাগে না হোসে মরিনহোর। লাল কার্ড দেখা যে তাঁর কাছে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তারপর সেটা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেও ছাড়েন না ৬১ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ।
মেজাজ হারানোর ঘটনা কি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে একেবারে নতুন? মোটেই তা নয়। গোল করতে না পারার হতাশা বা মাঠের কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝারতে দেখা যায় তাঁকে। পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের কাছে তখন সেটা কোন টুর্নামেন্ট, তাতে যায় আসে না।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গত বছর কেটেছিল দুর্দান্ত। গোল যেমন করেছেন, তেমনি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। তবে পর্তুগালের জার্সিতে এ বছর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। হতাশাজনক ইউরোতে একটা গোলও করতে পারেননি।
গোল করে আকাশের দিকে তাকালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই হাত প্রসারিত করেন। চোখও ছলছল করছিল পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের। দূর আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবার কথা রোনালদো স্মরণ করলেন এভাবেই।
গোল ছাড়া যেন কিছুই বোঝেন না আর্লিং হালান্ড। ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে তিনি মেতেছেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায়। সিটিজেনদের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার।তাঁর (হালান্ড) সঙ্গে, পরে সব খানেই আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যে কত রূপ। রেকর্ড তো তিনি হরহামেশাই করেন। দলের প্রয়োজনে কখনো তিনি হয়ে ওঠেন ‘সুপার সাব’। উয়েফা নেশনস লিগের গত রাতের ম্যাচে যে সিআর সেভেনকে দেখা গেছে এই রূপে।